আপনি কি হজে যাবেন ?
পবিত্র হজের প্রাক-নিবন্ধন করুন
আপনার হজ এর সফর নিশ্চিত করুন
হজ রেজিষ্ট্রেশন এর পর্যায়ক্রমিক ধাপ সমূহ
আমাদের সেবা সমূহ
আপনাদের সেবায় ২৪/৭ নিয়োজিত
হজের ফ্লাইট
নির্ধারিত সময়ে হজের ফ্লাইট ও ইকোনোমি ও বিসনেস ক্লাসে ফ্লাইট নেয়ার সুবিধা
মক্কা ও মদিনায় হোটেল
মক্কা ও মদিনায় ০ মিটারে হোটেল এছাড়াও প্যাকেজ অনুযায়ী ৩ ও ৪ ষ্টার হোটেলে থাকার ব্যবস্থা
যাতায়াত ব্যবস্থা
এয়ারপোর্ট থেকে হোটেল ও মক্কা ও মদিনায় যাতায়াত ব্যবস্থা
খাবার ব্যবস্থা
প্যাকেজ অনুযায়ী খাবার ব্যবস্থা
গাইড
অভিজ্ঞ গাইড ধারা পরিচানলা যা আপনার হজ সফর অনেক সহজ করবে
মিনাতে এসি তাবু
হজের সময়ে মিনাতে এসি তাবুতে থাকার ব্যবস্থা
আরাফাতের ময়দানে এসি তাবু
হজের সময়ে আরাফাতের ময়দানে এসি তাবুতে থাকার ব্যবস্থা
জিয়ার
হজের সফরের সময়ে মক্কা ও মদিনার বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থানে সফরের ব্যবস্থা
সাপোর্ট
আমাদের থেকে আপনার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ধাপে ধাপে হজের মূল্য পরিশোধের সুবিধা
বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধনের ধাপ
১. বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধন করতে ১৮ বছরের উর্ধ্বের হজযাত্রীর জন্য
এন.আই.ডি কার্ড, ১৮ বছরের নীচের বয়সীদের জন্মনিবন্ধন এবং বিদেশে বসবাসরত
নন-রেসিডেন্ট বাংলাদেশি হজযাত্রীর জন্য জন্মনিবন্ধন, ওয়ার্ক পারমিট অথবা
ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রয়োজন।
২. বেসরকারিভাবে প্রাক-নিবন্ধন করতে হলে হজযাত্রী ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের
অনুমোদিত হজ এজেন্সি।
৩. হজ এজেন্সি হজযাত্রীর এন.আই.ডির তথ্য দিয়ে প্রাক-নিবন্ধন সিস্টেমে এন্ট্রি
করে ব্যাংকে প্রাক-নিবন্ধন ফি জমা দেওয়ার ভাউচার তৈরি করে দিবেন। হজযাত্রী
ভাউচার নিয়ে ব্যাংকে নির্ধারিত পরিমাণ টাকা জমা দিয়ে প্রাক-নিবন্ধন সম্পন্ন
করবেন এবং প্রাক-নিবন্ধন সনদ গ্রহণ করবেন। প্রাক-নিবন্ধন সম্পন্ন হওয়ার পরে
সিস্টেমে এন্ট্রিকৃত হজযাত্রীর মোবাইলে প্রাক-নিবন্ধন নিশ্চিতকরণ এস.এম.এস.
যাবে।
৪. ১৮ বছরের কম বয়সী, মহিলা ও নন-রেসিডেন্ট বাংলাদেশি হজযাত্রীর ক্ষেত্রে
অবশ্যই বাংলাদেশি এন.আই.ডি আছে এমন একজন হজযাত্রী সঙ্গে প্রাক-নিবন্ধন করতে
হবে।
৫. প্রাক-নিবন্ধন ফী ৩০,৭৯২ টাকা
৬. হজ প্রাক-নিবন্ধন করার জন্য আমাদের কল করুন : 01920000300
হজ্জ সফরের ধারাবাহিক কার্যপ্রণালী
১. হজের ইহরাম (ফরজ)
হারাম শরিফ বা বাসা থেকে আগের নিয়মে শুধু হজের নিয়তে ইহরাম বেঁধে ৮ জিলহজ
জোহরের আগেই মিনায় পৌঁছে যাবেন।
২.আরাফাতের ময়দানে অবস্থান (ফরজ)
আরাফাতের ময়দানে অবস্থান হজের অন্যতম ফরজ। ৯ জিলহজ দুপুরের পর থেকে
সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করুন। এদিন নিজ তাঁবুতে জোহর ও
আসরের নামাজ স্ব-স্ব সময়ে আলাদাভাবে আদায় করুন। মাগরিবের নামাজ না পড়ে
মুজদালিফার দিকে রওনা হোন।
৩. মিনায় অবস্থান (সুন্নত)
জিলহজের ৮ তারিখ জোহর থেকে ৯ জিলহজ ফজরসহ মোট পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মিনায়
আদায় করুন এবং এ সময়ে মিনায় অবস্থান করুন।
৪. মুজদালিফায় অবস্থান (সুন্নত)
আরাফায় সূর্যাস্তের পর মুজদালিফায় গিয়ে এশার সময়ে মাগরিব ও এশা এক আজান ও
এক ইকামতে একসঙ্গে আদায় করুন। এখানেই রাত যাপন করুন (এটি সুন্নত) এবং ১০ জিলহজ
ফজরের পর সূর্যোদয়ের আগে কিছু সময় মুজদালিফায় অবশ্যই অবস্থান করুন (এটি
ওয়াজিব)। তবে দুর্বল (অপারগ) ও নারীদের বেলায় এটা অপরিহার্য নয়। রাতে ছোট ছোট
ছোলার দানার মতো ৭০টি কঙ্কর সংগ্রহ করুন। মুজদালিফায় কঙ্কর খুব সহজেই পেয়ে
যাবেন।
৫. কঙ্কর নিক্ষেপ (প্রথম দিন)
১০ জিলহজ ফজর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত শুধু বড় জামারাকে (বড় শয়তান) সাতটি
কঙ্কর নিক্ষেপ করুন (ওয়াজিব)। এ সময়ে সম্ভব না হলে এ রাতের শেষ পর্যন্ত কঙ্কর
মারতে পারেন। দুর্বল ও নারীদের জন্য রাতেই কঙ্কর মারা উত্তম ও নিরাপদ। কঙ্কর
মারার স্থানে বাংলা ভাষায় গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়; তা মনোযোগ দিয়ে
শুনুন এবং মেনে চলুন।
৬. কোরবানি করা (ওয়াজিব)
১০ জিলহজ নিক্ষেপের পরই কেবল কোরবানি নিশ্চিত পন্থায় আদায় করুন। কোরবানির
পরেই কেবল হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর আদর্শ অনুসরণে মাথা হলক করুন (ওয়াজিব)।
খেয়াল রাখবেন, কঙ্কর নিক্ষেপ, কোরবানি করা ও চুল কাটার মধ্যে ধারাবাহিকতা
রক্ষা করা জরুরি এবং ওয়াজিব। অন্যথায় দম বা কাফফারা দিয়ে হজ শুদ্ধ করতে হবে।
৭. তাওয়াফে জিয়ারত (ফরজ)
জিলহজের ১২ তারিখ সূর্যাস্তের আগেই তাওয়াফে জিয়ারত করে নিতে হবে। তা না
হলে ১২ জিলহজের পরে তাওয়াফটি করে দম দিতে হবে। তবে নারীরা প্রাকৃতিক কারণে করতে
না পারলে পবিত্র হওয়ার পরে করবেন।
৮. কঙ্কর মারা (ওয়াজিব)
জিলহজের ১১ ও ১২ তারিখে কঙ্কর মারা (ওয়াজিব)। ১১-১২ জিলহজ দুপুর থেকে সময়
শুরু হয়। ভিড় এড়াতে আসরের পর অথবা আপনার সুবিধাজনক সময়ে সাতটি করে কঙ্কর
মারবেন। প্রথমে ছোট, মধ্যম, তারপর বড় শয়তানকে। ছোট জামারা থেকে শুরু করে বড়
জামারায় শেষ করুন। সম্ভব না হলে শেষরাত পর্যন্ত মারতে পারেন। দুর্বল ও নারীদের
জন্য রাতেই নিরাপদ।
৯. মিনা ত্যাগ
১৩ জিলহজ মিনায় না থাকতে চাইলে ১২ জিলহজ সন্ধ্যার আগে অথবা সন্ধ্যার পর
ভোর হওয়ার আগে মিনা ত্যাগ করুন। সূর্যাস্তের আগে মিনা ত্যাগ করতেই হবে- এটা ঠিক
নয়। তবে সূর্যাস্তের আগে মিনা ত্যাগ করা উত্তম।
১০. বিদায়ী তাওয়াফ (ওয়াজিব)
বাংলাদেশ থেকে আগত হজযাত্রীদের হজ শেষে বিদায়ী তাওয়াফ করতে হয় (ওয়াজিব)।
তবে হজ শেষে যে কোনো নফল তাওয়াফই বিদায়ী তাওয়াফে পরিণত হয়ে যায়। নারীদের
মাসিকের কারণে বিদায়ী তাওয়াফ করতে না পারলে কোনো ক্ষতি নেই; দম বা কাফফারাও
দিতে হয় না।
উমরাহ সফরের ধারাবাহিক কার্যপ্রণালী
১. ওমরাহর ইহরাম (ফরজ)
পরিষ্কার-পচ্ছিন্নতা হয়ে গোসল বা অজু করে নিন। মিকাত অতিক্রমের আগেই
সেলাইবিহীন একটি সাদা কাপড় পরিধান করুন, আরেকটি গায়ে জড়িয়ে নিয়ে ইহরামের নিয়তে
দুই রাকাত নামাজ পড়া।
ওমরাহর নিয়ত করে এক বা তিনবার তালবিয়া পড়ে নিন। তালবিয়া হলো- ‘লাব্বাইকা
আলাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান
নি’মাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাকা।
২. ওমরাহর তাওয়াফ (ফরজ)
অজুর সঙ্গে ইজতিবাসহ তাওয়াফ করুন। ইহরামের চাদর কে ডান বগলের নিচের দিক
থেকে পেঁচিয়ে এনে বাম কাঁধের ওপর রাখাকে ‘ইজতিবা’ বলে। হাজরে আসওয়াদকে সামনে
রেখে তার বরাবর ডান পাশে দাঁড়ান (মেঝেতে সাদা মার্বেল পাথর আর ডান পাশে সবুজ
বাতি)। এর পর দাঁড়িয়ে তওয়াফের নিয়ত করুন।
রুকনে ইয়ামানিকে সম্ভব হলে শুধু হাতে স্পর্শ করুন। তবে চুমু খাওয়া থেকে
বিরত থাকুন। এরপর হাজরে আসওয়াদ পর্যন্ত এসে চক্কর পুরো করুন।
পুনরায় হাজরে আসওয়াদ বরাবর দাঁড়িয়ে হাত দিয়ে ইশারা করে হাতের তালুতে চুমু
খেয়ে দ্বিতীয় চক্কর শুরু করুন। এভাবে সাত চক্করে তাওয়াফ শেষ করুন।
হাতে সাত দানার তসবিহ অথবা গণনাযন্ত্র রাখতে পারেন। এতে সাত চক্করে ভুল হবে
না।
৩. তওয়াফের দুই রাকাত নামাজ (ওয়াজিব)
মাকামে ইবরাহিমের পেছনে বা হারামের যে কোনো স্থানে তওয়াফের নিয়তে (মাকরুহ
সময় ছাড়া) দুই রাকাত নামাজ পড়ে দোয়া করুন। মনে রাখবেন, এটা দোয়া কবুলের সময়।
আরাফাতের ময়দানে অবস্থান হজের অন্যতম ফরজ। ৯ জিলহজ দুপুরের পর থেকে সূর্যাস্ত
পর্যন্ত আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করুন"
৪. ওমরাহর সায়ি (ওয়াজিব)
সাফা পাহাড়ের কিছুটা ওপরে উঠে (এখন আর পাহাড় নেই, মেঝেতে মার্বেল পাথর,
শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত) কাবা শরিফের দিকে মুখ করে সায়ি’র নিয়ত করে, দোয়ার মতো হাত
তুলে তিনবার তাকবির বলে দোয়া করুন। তারপর মারওয়ার দিকে রওনা হয়ে দুই সবুজ দাগের
মধ্যে একটু দ্রুত পথ চলে মারওয়ায় পৌঁছলে এক চক্কর পূর্ণ হলো। মারওয়া পাহাড়ে
উঠে কাবা শরিফের দিকে মুখ করে দোয়ার মতো হাত তুলে তাকবির পড়ুন এবং আগের মতো চলে
সেখান থেকে সাফায় পৌঁছলে দ্বিতীয় চক্কর পূর্ণ হলো। এভাবে সপ্তম চক্করে মারওয়ায়
গিয়ে সায়ি শেষ করে দোয়া করুন।
৫. হলক করা (ওয়াজিব)
পুরুষ হলে হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শ
অনুসরণে সম্পূর্ণ মাথা মুণ্ডন করবেন, তবে মাথার চুল ছাঁটতেও পারেন। মহিলা হলে
চুলের মাথা এক ইঞ্চি পরিমাণ কাটবেন।